Uploaded On : April 25, 2018
আমাকে কেউ কখনো ভালোবাসেনি-
রূপালী চাঁদের আলো আমার কপালে মুখ রেখে বলেছিল,
তুই ভাগ্যহীন মুসাফির,
ঘর দুয়ার তোর তিথিতে নেই।
বাঁকা নদীর নোনাজল, আর বানডাকা স্রোত-
শাপ দিয়েছিল আমার জমে থাকা,
চোখের কিনারায় নোনতাকে,
পুরুষ হয়ে প্রেম জুটেনি-
দু একটা দাড়ি গজানোর আগেই প্রেমে ভাসলে,
প্রেম না ছাই ভস্ম জুটবে।
মনে পড়ে সেই মেয়েটির কথা?
মুখে যার হাসি লেগেই থাকতো-
তোর দিকে লুকিয়ে লাজুক চোখে তাকাতো,
সামনেপিছনে কত টিটকিরি দিতো,
আবার তোর অবহেলায় লাল হতো।
তখন তুই ক্যাবলা কান্ত হয়ে থাকতিস,
তোর দিকে তাকানোর অপরাধে-
কি বকুনি না খেয়েছিল,
স্যর ও সে-দিন বুঝেছিল,কিন্তু তুই?
হাজারটা মেয়ের পেছনে ঘুরতিস,
কি অপরাধ ছিল ও-র?
ও'র মা দেহ বিক্রি করে সংসার করে বলে?
কেন তোকে কি ও সম্মান করেনি?
হ্যা, মানলাম সমাজ এটা ভালো চোখে দেখে না,
কিন্তু কোন সমাজের কথা বলছিস বলতো?
সন্ধে হলেই তো দেখি তোর বাবাও দরজায় কড়া নাড়ে,
তখন তুই কোথায় থাকিস?
যদি ও'র বাবা সে-দিন ডিভোর্স না দিত,
আর সমাজপতিরা টাকায় কথা না বলতো,
তাহলে আজ ওর মা-ও সম্মানীয়া হত।
তুই তো খুব নারী দিবসে বক্তৃতা দিতি,
একদিনও কি নারীত্ব কি দেখেছিস?
ওই দিন ফাঁকা রাস্তায় মুখ বেঁধে কি না করল মেয়েটার,
তুই দেখেও মাড়ের ভয়ে পালিয়ে গেলি,
পশুর মতো ছিন্ন ছিন্ন করে খেয়েছিল,
প্রতিটা নখের আঁচড় এখনো রয়েছে।
আজ এসেছিস ওর কাছেই দেহ কিনতে,
হায় রে!তুই সত্যি পুরুষ তো!
তোর চোখের জলই তোর শাপ-
ভালবাসার বুঝবি কি বল,
তোর সমাজ তোকে অন্ধ করেছে,
তুই তার ফল।